কক্সবাজারে র্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দুই ব্যক্তি র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন।
শনিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শহরের বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চৌধুরী পাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে জাহিদ হাসান (২৮) ও একই জেলার চক নাধড়া এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে সানোয়ার হাসান উরফে সনি (৩০)।
রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এসপি আবু সালাম চৌধুরী।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে র্যাব-১৫ এর চৌকস দল কক্সবাজার শহরের বাসটার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় র্যাব পরিচয়ে দু’জন চাঁদা দাবি করছে এমন খবরে অভিযানে যায় র্যাব। পরে র্যাবের টি-শার্ট পরা একজনকে দেখতে পেয়ে তাদের ধাওয়া করে আটক করেন।
এরপর তাদের তল্লাশি করে একটি আইফোন-১১, একটি রেডমি নোট-৮ প্রো, একটি মোটরসাইকেল, একটি র্যাবের টি-শার্ট, নগদ ৩ হাজার ৩০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১২ আগস্ট) রাত তিনটার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিককুল এলাকার বাসিন্দা ফজল করিম (২৮) নামে এক ব্যক্তি সুগন্ধা বিচ থেকে সিএনজি অটোযোগে নিজ বাসায় ফেরার পথে বাস টার্মিনালের অদূরে যানবাহন থেকে পৌর টোল আদায়ের জন্য সিএনজি থামায়। এসয়ম ভুয়া র্যাব পরিচয়ে হেড লাইটের ওপরে র্যাবের স্টিকার লাগানো দু’জন ব্যক্তি মোটরসাইকেল যোগে হাজির হয়। তাদের একজনের গায়ে র্যাবের লগো টি-শার্ট পরা ছিল।
এসময় তারা র্যাব পরিচয় দিয়ে সিএনজির যাত্রী ফজল করিমের কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা একটি আইফোন-১১ এবং একটি রেডমি নোট-৮ প্রো মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাই এর পর তারা বাসটার্মিনাল রাজা গেস্ট হাউজে ফিরে যান। ওই রেস্ট হাউজের একটি কক্ষে জনৈক ফাতেমা নামে রাঙ্গামাটি জেলার এক পর্যটক অবস্থান করছিলেন। পরে তারা ওই পর্যটককে র্যাব পরিচয় দিয়ে ভয়-ভীতি পর্দশন করে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীসহ রাজা গেস্ট হাউজের ম্যানেজার ও সহকারী ম্যারজারকে জিজ্ঞেসাবাদে ধর্ষণের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানায়, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি প্রদান করে এবং ছিনতাই ঘটনার সঙ্গে পৌর টোল আদায়কারী জাহিদুল ইসলামের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানায়। ঘটনার পর থেকে পলাতক পৌর টোল আদায়কারী জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে জানান আবু সালাম চৌধুরী।
গ্রেফতার ও পলাতক অপরাধীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত